প্যারাসিটামল 650 এর কাজ কি
প্যারাসিটামল 650 (Paracetamol 650mg) একটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধ যা মূলত ব্যথা উপশম এবং জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্যারাসিটামল 650 এর কাজ কি
প্যারাসিটামল 650 এর প্রধান কাজগুলো
জ্বর কমানো (Antipyretic)
শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে এটি ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাসে কাজ করে তাপমাত্রা কমিয়ে আনে।
ব্যথা উপশম (Analgesic)
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, যেমন:
মাথাব্যথা
দাঁতের ব্যথা
গা-ব্যথা
মাসল পেইন
সর্দি-জ্বরজনিত ব্যথা
মেয়েদের মাসিকের সময় ব্যথা
ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় আরাম দেয়
প্যারাসিটামল ৬৫০ মি.গ্রা. ঠান্ডা, কাশি বা ফ্লু’র কারণে শরীরে সৃষ্ট গা-ব্যথা বা মাথাব্যথায় আরাম দেয়।
ডোজ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ ডোজ:
প্রতি ৪–৬ ঘণ্টা পর ১টি ৬৫০ মি.গ্রা ট্যাবলেট, তবে দিনে সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম (৬টি ট্যাবলেটের বেশি নয়)।
খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। খাবারের পরে খাওয়া নিরাপদ।
লিভার রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা সতর্ক থাকুন।
অতিরিক্ত ডোজে লিভার ড্যামেজ হতে পারে।
অ্যালকোহল গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।
কিভাবে খেতে হয়
প্যারাসিটামল 650mg কিভাবে খেতে হয় – তা নির্ভর করে বয়স, ওজন, এবং রোগের প্রকৃতির উপর। তবে সাধারণ নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:
সাধারণভাবে খাওয়ার নিয়ম (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
ডোজ
প্রতি ৪–৬ ঘণ্টা পর ১টি ৬৫০ মি.গ্রা ট্যাবলেট।
দিনে সর্বোচ্চ ৪০০০ মি.গ্রা বা ৪টি ১০০০mg ট্যাবলেট (বা ৬টি ৬৫০mg ট্যাবলেট) পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে।
তবে ৪ গ্রাম (৪০০০mg) এর বেশি নিলে লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
খাওয়ার সময়:
খাবার খাওয়ার পরে খাওয়াই ভালো – পেটের ওপর চাপ কম পড়ে।
খালি পেটে খাওয়া গেলেও অনেকের ক্ষেত্রে অস্বস্তি, গ্যাস্ট্রিক বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
জল দিয়ে খেতে হবে।
চিবিয়ে খাওয়া যাবে না, পুরো ট্যাবলেট গিলে খেতে হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল ৬৫০ না দিয়ে ডোজ অনুযায়ী শিশুদের সিরাপ বা কম ডোজ ট্যাবলেট দেওয়া উচিত।
লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।
প্যারাসিটামল খাওয়ার পরেও যদি জ্বর বা ব্যথা ২–৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
শিশুদের জন্য ডোজ?
গর্ভবতী মায়ের জন্য নিরাপদ কিনা?
প্যারাসিটামলের সঙ্গে অন্য ওষুধ খাওয়া যাবে কি না?
জানাতে পারেন, বিস্তারিত বলে দেব।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে
প্যারাসিটামল 650mg সাধারণত নিরাপদ একটি ওষুধ, তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার, বেশি ডোজ বা শরীরের বিশেষ অবস্থা থাকলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (side effects) দেখা দিতে পারে।
বমি বমি ভাব বা বমি
পেটে ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা
ক্ষুধামান্দ্য (অভাব)
চিনচিনে মাথাব্যথা বা ঘুম ঘুম ভাব
লিভার ড্যামেজ বা লিভার ফেলিওর
অতিরিক্ত ডোজ খেলে (৪ গ্রাম বা তার বেশি প্রতিদিন)
নিয়মিত কয়েকদিন খেলে
অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঝুঁকি বেশি
লক্ষণ: চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস), দুর্বলতা, বমি, পেট ফোলা ইত্যাদি।
অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন
ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি, চুলকানি
শ্বাসকষ্ট, মুখ বা গলা ফুলে যাওয়া (অত্যন্ত বিপজ্জনক)
এমন হলে তাৎক্ষণিক ডাক্তার দেখাতে হবে।
কিডনির সমস্যা (বিরল)
দীর্ঘমেয়াদি অতিরিক্ত ব্যবহারে কিডনি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
৩ দিন বা তার বেশি জ্বর বা ব্যথা না কমলে
চোখ বা শরীর হলুদ হয়ে গেলে
বমি, মাথা ঘোরা বা চেতনা হারানোর মত লক্ষণ দেখা দিলে
চুলকানি বা ফুসকুড়ি হলে
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url