গর্ভাবস্থায় খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুরের রস (Date Palm Juice) পরিমিত পরিমাণে সঠিকভাবে খেলে কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই পরিষ্কার, সতেজ ও নিরাপদভাবে সংগ্রহ করা রস হতে হবে। নীচে সহজভাবে উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো—
গর্ভাবস্থায় খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরের রসে প্রাকৃতিক চিনি, গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে, যা গর্ভাবস্থার ক্লান্তি, দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে। দ্রুত এনার্জি দেয়।
খেজুরের রসে আয়রন ও কিছু পরিমাণ মিনারেল থাকে, যা রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) কমাতে সাহায্য করতে পারে। গর্ভকালীন হিমোগ্লোবিন স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।
গর্ভাবস্থায় অনেকেই অম্বল, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব করেন।খেজুরের রসে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
খেজুর জাতীয় খাবার জরায়ুর পেশীকে কিছুটা শক্তি দেয় বলে ধারণা আছে। গর্ভাবস্থার শেষদিকে এটি স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ায় কিছুটা সহায়ক হতে পারে।
খেজুরের রসে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়াতে সাহায্য করে।
এতে মা ও বাচ্চা উভয়েরই উপকার হয়।খেজুরের রসে পানির মাত্রা বেশি থাকে, যা গর্ভাবস্থায় শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। গরমকাল বা শীতের সকালে এটি পান করলে শরীর সতেজ থাকে।
নিখাদ ও নিরাপদ রস হতে হবে—ঝুঁকি হলো নাইরোবি ভাইরাস বা জীবাণু।
তাই সাধারণত রাতের রস সকালে ফুটিয়ে খাওয়া নিরাপদ।অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো (প্রতিদিন ½–1 গ্লাস যথেষ্ট)।ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
পরিমিত ও নিরাপদ খেজুরের রস গর্ভাবস্থায় শক্তি বাড়ায়, রক্তশূন্যতা কমায়, হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে। তবে নিরাপত্তা ও পরিমাণ–এই দুটো বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url