আমিষ জাতীয় খাবার কি কি
আমিষ জাতীয় খাবার হলো এমন সব খাবার যেগুলোতে প্রাণিজ প্রোটিন থাকে এবং যেগুলো আমাদের শরীরের বৃদ্ধিতে, কোষ গঠনে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিচে কিছু আমিষ জাতীয় খাবারের তালিকা দেওয়া হলোঃ
আমিষ জাতীয় খাবার কি কি
উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রোটিন (প্রচলিতভাবে আমিষ নয়, তবে প্রোটিন থাকে):
যদিও এগুলো নিরামিষ, কিন্তু এতে প্রোটিন থাকে—
ডাল (মসুর, মুগ, ছোলা, কালো ডাল)
বাদাম (চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট)
সয়াবিন
মাশরুম (প্রাণিজ নয়, তবে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত)
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত আমিষ অন্তর্ভুক্ত করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি।
মাছজাতীয় আমিষ খাবার
রুই মাছ
কাতলা মাছ
ইলিশ মাছ
তেলাপিয়া মাছ
চিংড়ি মাছ
মাগুর মাছ
শিং মাছ
পুঁটি মাছ
বোয়াল মাছ
কৈ মাছ
পাবদা মাছ
গজার মাছ
টেংরা মাছ
বাইন মাছ
বাইম মাছ
চেলা মাছ
বেলে মাছ
গলদা চিংড়ি
রূপচাঁদা মাছ
কোরাল মাছ
নিলা মাছ
ফাইটিং মাছ
আইড় মাছ
গুরামি মাছ
কাঁকড়া
স্কুইড
অক্টোপাস
সামুদ্রিক পমফ্রেট
স্যালমন মাছ
টুনা মাছ
সার্ডিন মাছ
মাকরেল মাছ
বাটারফিশ
কাটন ফিশ
ড্রাম ফিশ
গ্রুপার মাছ
বাস ফিশ
ক্যাট ফিশ
পেরচ মাছ
গোল্ডফিশ (খাদ্য নয়, তবে প্রোটিন উৎস হিসেবে গবেষণায় ব্যবহৃত)
লোটে মাছ
চিংড়ি পকোড়া
মাছ ভুনা
মাছের মাথা ভাজি
মাছের ঝোল
মাছের কাটলেট
মাছের বল
মাছের চপ
মাছের স্যুপ
মাছের পুদিনা
মাংসজাতীয় আমিষ খাবার
গরুর মাংস
খাসির মাংস
মুরগির মাংস
হাঁসের মাংস
কোয়েলের মাংস
কবুতরের মাংস
তিতির মাংস
খরগোশের মাংস
উটের মাংস
বন্য হাঁস
গিনি মুরগির মাংস
টার্কি মাংস
শিকারি পাখির মাংস
বুনো শূকর
ঘোড়ার মাংস
বারবিকিউ বিফ
বিফ স্টেক
বিফ রোস্ট
বিফ কালিয়া
গরুর কলিজা
গরুর মগজ
গরুর পায়া
গরুর চর্বি ভুনা
গরুর নাড়িভুঁড়ি
গরুর কিডনি
গরুর হাড়ের ঝোল
খাসির পায়া
খাসির নাড়ি
খাসির চামড়া ভুনা
খাসির কলিজা
মুরগির পাখনা
মুরগির পেট
মুরগির কলিজা
মুরগির গলবিল
মুরগির ঠ্যাং
মুরগির চপ
চিকেন রোস্ট
চিকেন কারি
চিকেন তন্দুরি
চিকেন কাবাব
চিকেন বল
চিকেন পটফ্রাই
হাঁসের ডিমে হাঁসের মাংস
হাঁসের ঝোল
হাঁসের চপ
কোয়েলের ঝোল
কোয়েল ভুনা
কবুতর ভুনা
তিতির কাবাব
বন্য পাখির রোস্ট
ডিম জাতীয় আমিষ
মুরগির ডিম
হাঁসের ডিম
কোয়েলের ডিম
কবুতরের ডিম
তিতির ডিম
উটের ডিম
টার্কির ডিম
ডিম ভাজি
ডিম পোচ
ডিম কারি
ডিম চপ
ডিম পরোটা
ডিমের পুডিং
ডিম সিদ্ধ
ডিম টোস্ট
ডিম পনির রোল
ডিম পুরি
ডিম পাকোড়া
ডিম স্যান্ডউইচ
ডিম কাটলেট
দুধ ও দুধজাতীয় আমিষ
গরুর দুধ
মহিষের দুধ
ছাগলের দুধ
দই
মিষ্টি দই
টক দই
ঘি
মাখন
ছানা
পনির
চিজ
রসমালাই
রাবড়ি
ক্ষীর
দুধ সাগু
দুধ সেমাই
দুধ চা
দুধ খেজুর
দুধ পাউরুটি
দুধের পুডিং
চকলেট দুধ
কনডেন্সড মিল্ক
চিজ বল
পনির পকোড়া
দুধ মিষ্টি
ছানার সন্দেশ
ছানার হালুয়া
ছানার বড়া
দুধ কলা
দুধ করলা (বিশেষ স্বাস্থ্য খাদ্য)
আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা
আমিষে থাকা প্রোটিন শরীরের নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে এবং পুরনো কোষ মেরামত করে। এটি পেশি, ত্বক, চুল ও রক্ত তৈরিতে অপরিহার্য।
প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকায় আমিষ পেশিকে গঠনে ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা শরীরচর্চা করেন।
আমিষ খাদ্য শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
ডিম, মাছ ও দুধে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন B12 এবং অ্যামিনো অ্যাসিড শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তা করে।
আমিষ খাবার দেহে শক্তি সরবরাহ করে, বিশেষ করে যখন শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়।
গরুর কলিজা, ডিম ও মাছে থাকা আয়রন ও ভিটামিন B12 রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় ও রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে আমিষ খাদ্য দরকার।
প্রোটিন চুল ও নখের গঠনের মূল উপাদান। ফলে আমিষ খাবার এগুলো সুস্থ ও মজবুত রাখে।
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে।
ফিশ অয়েল বা মাছে থাকা ওমেগা-৩ ডিপ্রেশন, উদ্বেগ ও মনমরা ভাব কমাতে সহায়ক।
যখন শরীর অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন আমিষজাত খাবার দ্রুত আরোগ্য করতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে।
চর্বিযুক্ত আমিষ এড়িয়ে চলা ভালো (যেমন: প্রক্রিয়াজাত মাংস)।
রোগী বা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খেতে হবে
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url