নাপা প্যারাসিটামল এর কাজ কি

নাপা (Napa) প্যারাসিটামল একটি বহুল ব্যবহৃত ব্যথানাশক ও জ্বরনাশক ওষুধ। এর প্রধান উপাদান প্যারাসিটামল (Paracetamol বা Acetaminophen)। নিচে নাপা প্যারাসিটামল এর কাজগুলো উল্লেখ করা হলোঃ



 নাপা প্যারাসিটামল এর কাজ কি

নাপা প্যারাসিটামল এর প্রধান কাজগুলোঃ

জ্বর কমানো – সাধারণ জ্বর, ভাইরাল ফিভার, ডেঙ্গু জ্বর ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

মাথাব্যথা উপশম – মাইগ্রেন বা সাধারণ মাথাব্যথা উপশমে কার্যকর।

দাঁতের ব্যথা কমানো – বিশেষ করে দাঁতের ইনফেকশন বা দাঁত উঠার সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

মাসল পেইন / শরীর ব্যথা – ঠান্ডা লাগা বা ভাইরাল ইনফেকশনজনিত ব্যথা কমায়।

জয়েন্ট পেইন / আর্থ্রাইটিস – হালকা থেকে মাঝারি ধরনের জয়েন্টের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়।

পিরিয়ডের ব্যথা – নারীদের ঋতুকালীন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা লাগা ও শরীর ব্যথা – সর্দি-কাশিজনিত শরীর ব্যথা উপশমে কার্যকর।

 নাপা প্যারাসিটামল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি

নাপা প্যারাসিটামল (Napa Paracetamol) সাধারণত নিরাপদ একটি ওষুধ হিসেবে পরিচিত, যদি তা নির্দিষ্ট মাত্রায় (ডোজ) গ্রহণ করা হয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া বা দীর্ঘদিন নিয়মিত সেবন করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (side effects) দেখা দিতে পারে।

নাপা প্যারাসিটামল এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

হালকা পেট ব্যথা বা অস্বস্তি

মাথা ঘোরা বা ক্লান্ত লাগা

ত্বকে অল্প লালচে র‍্যাশ বা চুলকানি

বমি ভাব বা ক্ষুধামন্দা

লিভার ড্যামেজ / হেপাটোটক্সিসিটিঃ

অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে লিভার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে

লক্ষণঃ চোখ ও চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস), গা বমি ভাব, পেট ফুলে যাওয়া, অতি দুর্বলতা।

অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন (Rare):

ফুসকুড়ি, চুলকানি, ফোলা, শ্বাসকষ্ট (বিশেষত যাদের এলার্জি আছে)।

কিডনি সমস্যাঃ

দীর্ঘদিন বা অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

রক্তের সমস্যা (খুব বিরল):

যেমনঃ প্লেটলেট কমে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি।

কখন সতর্ক হবেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?

এক দিনে ৪ গ্রাম (৮টা ৫০০ মি.গ্রা ট্যাবলেট) এর বেশি খেলেন

৩ দিন পরেও জ্বর বা ব্যথা না কমলে

চোখ-মুখে হলুদ ভাব, প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়ে গেলে

হঠাৎ করে ত্বকে ফুসকুড়ি বা নিঃশ্বাসে সমস্যা শুরু হলে

 নাপা প্যারাসিটামল এর উপকারিতা কি

নাপা প্যারাসিটামল (Napa Paracetamol) বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধগুলোর একটি। এটি ব্যথানাশক ও জ্বরনাশক হিসেবে কাজ করে। নিচে এর প্রধান উপকারিতাগুলো ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হলোঃ

নাপা প্যারাসিটামল এর উপকারিতা

১. জ্বর কমায় (Antipyretic)

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সাধারণ জ্বর

ডেঙ্গু, ফ্লু বা ঠান্ডাজনিত জ্বরেও কার্যকর

শিশু ও বড়দের জ্বর কমাতে ব্যবহৃত হয়

 ২. ব্যথা উপশম করে (Analgesic)

মাথাব্যথা, দাঁতের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা

নারীদের মাসিক ব্যথা (period pain)

গাঁটে ব্যথা বা বাতজনিত ব্যথা

ঠান্ডা-সর্দি জনিত শরীর ব্যথা

৩. শিশুদের জন্যও নিরাপদ

চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক ডোজে শিশুরাও এটি ব্যবহার করতে পারে

শিশুদের স্যাপ, সিরাপ ও সাসপেনশন আকারে পাওয়া যায়

৪. পেটের জন্য তুলনামূলকভাবে সহনীয়

অন্যান্য ব্যথানাশক যেমন আইবুপ্রোফেন বা ডাইক্লোফেনাক-এর তুলনায় পেটের ক্ষতি কম করে

আলসার রোগীদের জন্য অপেক্ষাকৃত নিরাপদ (তবে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন)

৫. অ্যাজমা বা হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য তুলনামূলক নিরাপদ

অনেক ব্যথানাশক হাঁপানি বা হার্টের রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু নাপা সাধারণত নিরাপদ

৬. দ্রুত কাজ করে

খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে

ব্যথা বা জ্বর কমানোর ক্ষেত্রে দ্রুত আরাম দেয়

নিরাপদ ব্যবহারের জন্য টিপসঃ

সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম/দিন (৮টা ৫০০mg ট্যাবলেট)

৪-৬ ঘণ্টা ব্যবধানে খাওয়া উচিত

খালি পেটে না খাওয়াই ভালো

দীর্ঘদিন নিয়মিত না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪