দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

নিশ্চিতভাবে! নিচে দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর বিস্তারিত ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হলো। তবে প্রথমে বুঝে নিতে হবে — পেট ব্যথা কোন কারণে হচ্ছে (গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং, পিরিয়ড পেইন ইত্যাদি)। এখানে সর্বাধিক সাধারণ কারণ ধরে সকলের উপযোগী উপায় ব্যাখ্যা করা হলোঃ



দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর উপায়

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির জন্য পেট ব্যথা হলে

আদা চা: আদা ১ চা চামচ কুচি করে এক কাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে খান।

পুদিনা পাতা চা বা রস: এটি হজমে সাহায্য করে, গ্যাস দূর করে পেট ঠান্ডা রাখে।

সাদা জিরা বা জিরা পানি: এক চা চামচ জিরা ভেজানো পানি সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

গরম পানি পান: ছোট চুমুকে গরম পানি খেলে পেট আরাম পায়।

চা/কফি, দুধ, ভাজাপোড়া খাবার, কোলা বা সফট ড্রিংক

কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত পেট ব্যথা হলে

ইসবগুলের ভুসি: ১-২ চা চামচ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে রাতে ঘুমের আগে খান।

পাকা কলাঃ প্রতিদিন অন্তত ১টি পাকা কলা খান।

টক দই বা প্রোবায়োটিক খাবার: অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।

বেশি পানি পান করুন: দিনে ৮-১০ গ্লাস।

ডায়রিয়া বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ব্যথা

ওরস্যালাইন খাওয়া: পানিশূন্যতা রোধে কাজ করে।

কাঁচা কলা সিদ্ধ খাওয়া: পেট শক্ত করে, ব্যাকটেরিয়া কমায়।

মসুর ডালের পাতলা স্যুপ বা খিচুড়ি খেতে পারেন।

ইমোডিয়াম বা নির্দিষ্ট ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শে নিতে হবে।

 পিরিয়ডের (ঋতুস্রাব) সময় পেট ব্যথা হলে

হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে পেট সেঁক দিন।

আদা বা তুলসী পাতা চা পান করুন।

হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা করলে আরাম পাওয়া যায়।

পেইনকিলার (যেমন মেফেনামিক অ্যাসিড) প্রয়োজনে নিতে পারেন — তবে ডাক্তার দেখিয়ে।

দ্রুত আরাম পেতে জরুরি কৌশল (যেকোনো পেট ব্যথার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ)

উপায় বিস্তারিত

হালকা গরম পানি পান অন্ত্রে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, ব্যথা কমায়

পেটের ওপর হট ওয়াটার ব্যাগ সেঁক পেশি শিথিল হয়

ঘুম বা বিশ্রাম দুশ্চিন্তা কমলে ব্যথাও কমে

গভীর নিঃশ্বাস পেটের চাপ কমায়

কখন দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন?

জ্বর, বমি বা রক্তপাত হলে

ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হলে

পেট ফেঁপে গেলে বা টাচ করলে ব্যথা বাড়লে

প্রস্রাব বা পায়খানায় সমস্যা হলে

পেট ব্যথা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক কারণে হতে পারে, যেমন গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডায়রিয়া, পিরিয়ড, স্নায়বিক চাপ ইত্যাদি।

গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটির জন্য পেট ব্যথা কমানোর উপায়

আদা চা পান করা

কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া

পুদিনা পাতা চা

জিরা ভেজানো পানি

এলাচ চিবানো

গরম পানি ছোট ছোট চুমুকে খাওয়া

তুলসী পাতা চা

জোয়ান গুঁড়া করে গরম পানিতে খাওয়া

গ্যাসের ওষুধ (যেমন: এন্টাসিড) খাওয়া

তোকমা বীজ ভেজানো পানি

দারচিনি চ

বেল পাতার রস

ত্রিফলা গুঁড়া খাওয়া

ছোলা ভাজা না খাওয়া

ফ্রিজের পানি এড়িয়ে চলা

কলা খাওয়া

অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া

বেশি তেল-মসলা না খাওয়া

দুধ খাওয়া বন্ধ রাখা

ধূমপান বন্ধ রাখা

খালি পেটে চা-কফি না খাওয়া

দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা থেকে বিরত থাকা

ফাস্টফুড পরিহার

খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করা

টক ফলমূল (কমলা, আনারস) না খাওয়া

কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত পেট ব্যথা কমানোর উপায় 

ইসবগুলের ভুসি খাওয়া

বেশি পানি পান

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া

পাকা কলা খাওয়া

টক দই খাওয়া

ওটস বা দaliya খাওয়া

সেবন করার সময় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় রাখা

সকালে খালি পেটে গরম পানি

চিয়া সিড খাওয়া

শুকনো বরই খাওয়া

অলিভ অয়েল ১ চামচ খাওয়া

সকালে খালি পেটে লেবু পানি

গাজর খাওয়া

শাকসবজি খাওয়া

হালকা ব্যায়াম (যেমন হাঁটা)

ডায়রিয়া বা ফুড পয়জনিংজনিত ব্যথা কমানোর উপায়

ওরস্যালাইন খাওয়া

ডাবের পানি পান

কাঁচা কলা সিদ্ধ খাওয়া

গাজরের স্যুপ খাওয়া

খিচুড়ি খাওয়া

পাকা কলা+ভাত+আলু খাওয়া

প্রোবায়োটিক ট্যাবলেট

বেশি ঘুম ও বিশ্রাম

পুদিনা পাতার রস

গ্যাসের ওষুধ (সিমেথিকন)

খাবারে সতর্কতা

ফ্রিজে রাখা পুরনো খাবার না খাওয়া

রাস্তার খাবার না খাওয়া

জীবাণুমুক্ত পানি পান

ডাক্তারের পরামর্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ

পিরিয়ডজনিত পেট ব্যথা কমানোর উপায় 

হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে পেট সেঁক

আদা চা

তুলসী চা

মেথি চা

গরম দুধে হালকা হলুদ

হালকা ব্যায়াম

পায়ের ম্যাসাজ

পিঠে গরম পানির বোতল রাখা

মাথা-পা উঁচু করে ঘুম

ব্যথানাশক ওষুধ (ডাক্তারের পরামর্শে)

মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে মালিশ

ধূমপান ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা

বেশি পানি পান

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

স্ট্রেস কমিয়ে রাখা

সাধারণ পেট ব্যথা বা হজমজনিত ব্যথা কমানোর উপায়

হালকা স্যুপ খাওয়া

পেঁপে খাওয়া

শসা খাওয়া

কলিজা ও তেলযুক্ত খাবার না খাওয়া

গরম লেবু পানি

ভাতের মাড় খাওয়া

নিমপাতা সিদ্ধ পানি

আমসত্ত্ব বা শুকনো আম

ধনে পাতা বা বীজ

গ্যাসের ওষুধ (Domperidone, Ranitidine)

পেটের মালিশ করা

সোজা হয়ে বসে থাকা

দ্রুত না খাওয়া

সময়মতো খাওয়া

বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়া

জীবনধারাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যথা রোধ ও নিয়ন্ত্রণ

প্রতিদিন একি সময়ে ঘুম ও খাওয়া

খাদ্যদ্রব্য পরিষ্কারভাবে ধুয়ে খাওয়া

ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া

খাবারের পরপরই শুয়ে না যাওয়া

দুশ্চিন্তা কমানো

গভীর নিঃশ্বাসের অনুশীলন

যোগব্যায়াম

গ্যাস-বর্ধক খাবার (বেগুন, মটর, ফুলকপি) কম খাওয়া

ঠান্ডা পানি না খাওয়া

সিগারেট বন্ধ

ঘনঘন কোল্ড ড্রিংক খাওয়া বন্ধ

চুইংগাম না চিবানো (বায়ু ঢুকে যায়)

হাঁটাহাঁটি করা (খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট)

সঠিক ভঙ্গিমায় বসা

খাদ্য অ্যালার্জি শনাক্ত করা এবং তা এড়িয়ে চলা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪