খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ বিজ্ঞান ও ভেষজ উপায়ে
যদি কাশি ২ সপ্তাহের বেশি থাকে, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, বুকে ব্যথা বা রক্ত ওঠা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।খুসখুসে কাশি (Dry/irritating cough) সাধারণত গলা শুষ্ক হয়ে গেলে, অ্যালার্জি, সর্দি-জ্বর, ধুলা–ধোঁয়া, ধূমপান বা কখনো গ্যাস্ট্রিক এসিড রিফ্লাক্সের কারণে হয়। চিকিৎসা দুইভাবে করা যায় –
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ বিজ্ঞান ও ভেষজ উপায়ে
বৈজ্ঞানিক / মেডিকেল চিকিৎসা
(সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত)
কাশি দমনকারী (Cough suppressants):
Dextromethorphan (Dextron, Tussidex-DX, Zerotuss-DX, Fedril-DX ইত্যাদি) → গলার খুসখুসে কাশি কমায়।
Codeine ভিত্তিক সিরাপ (যেমন Cosede, Codsir ইত্যাদি) → শক্তিশালী কাশি দমনকারী (কিন্তু অনেক দেশে সীমিত ব্যবহৃত, আসক্তি হতে পারে)।
অ্যান্টিহিস্টামিন (Allergy related খুসখুসে কাশি হলে):
Cetirizine (Alergin, Cezin, Zyras)
Loratadine (Alatrol)
Fexofenadine (Fexo, Telfast)
লোজেঞ্জ / গলার ট্যাবলেট:
Strepsils, Lozenges, Vicks ইত্যাদি → গলার শুষ্কতা কমায়।
গ্যাস্ট্রিকের জন্য (যদি কাশি অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে হয়):
Omeprazole, Esomeprazole, Acifix ইত্যাদি (ডাক্তারের পরামর্শে)।
ভেষজ / ঘরোয়া চিকিৎসা
মধু ও আদা মিশ্রণ:
১ চা চামচ মধু + সামান্য আদা রস → খুসখুসে কাশি কমায় ও গলা নরম করে।
হলুদ দুধ (Golden milk):
গরম দুধে ½ চা চামচ হলুদ দিয়ে পান করুন → গলার প্রদাহ কমায়।
তুলসী পাতা ও মধু
তুলসী পাতা সিদ্ধ করে মধু মিশিয়ে খেলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।
লবণ পানি দিয়ে গার্গল
গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে ২–৩ বার গার্গল করলে গলার অস্বস্তি কমে।
ভাপ নেওয়া
গরম পানির ভাপ গলাকে আর্দ্র রাখে ও খুসখুসে কাশি কমায়।
লিকোরিস রুট (যষ্টিমধু):
গলাকে নরম করে এবং শুষ্ক কাশি কমায়।
সতর্কতা
ধুলো–ধোঁয়া, ঠান্ডা পানি ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত পানি ও গরম তরল (সুপ, চা, লেবু-মধু পানি) পান করুন।
বেশি সময় এয়ারকন্ডিশনে থাকবেন না।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url