কাশির জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম - পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও ব্যবহারের নিয়ম
কাশির চিকিৎসায় সবসময় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) লাগে না।কারণ, কাশি বেশিরভাগ সময় ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে (যেমন: ঠান্ডা-জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাধারণ সর্দি), যেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না।তবে যদি কাশি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, টনসিলাইটিস, সাইনোসাইটিস, যক্ষ্মা, বা হুপিং কাশি) এর কারণে হয়, তখন ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।
কাশির জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম - পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও ব্যবহারের নিয়ম
কাশির জন্য ব্যবহৃত সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকের নাম
(শুধু ডাক্তারের পরামর্শে খাওয়া উচিত)
অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
অ্যামোক্সিসিলিন + ক্ল্যাভুলানিক এসিড (Amoxiclav / Augmentin)
আজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin)
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন (Clarithromycin)
ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
সেফিক্সিম (Cefixime)
লেভোফ্লক্সাসিন (Levofloxacin) – গুরুতর সংক্রমণে
অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
অ্যামোক্সিসিলিন একটি পেনিসিলিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রমণ (শ্বাসনালী, গলা, কান, দাঁত, মূত্রনালী, ত্বক, নিউমোনিয়া ইত্যাদি) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
কাশি যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া) এর কারণে হয়, তখন ডাক্তার এটি দিয়ে থাকেন।
সাধারণ ডোজ
বড়দের জন্য (Adult):
500 mg দিনে ৩ বার (প্রতি ৮ ঘণ্টা পরপর)
অথবা 875 mg দিনে ২ বার (প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর)
শিশুদের জন্য (Pediatric):
40–50 mg/kg/দিন (ওজন অনুযায়ী), ভাগ করে ৩ ডোজ।
ব্যবহারের নিয়ম
সাধারণত খাবারের পর খাওয়া ভালো (পেটের সমস্যা কম হয়)।
নির্ধারিত সময় মেনে খেতে হবে।
কোর্স (৫–৭ দিন বা ডাক্তার যা বলবেন) অবশ্যই শেষ করতে হবে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
পেট ব্যথা, গ্যাস, বমি
ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি
মুখে ঘা বা ফুসকুড়ি
খুব কম ক্ষেত্রে: লিভারের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট (অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হলে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন)
সতর্কতা
যাদের পেনিসিলিন অ্যালার্জি আছে, তারা অ্যামোক্সিসিলিন খেতে পারবেন না।
কিডনি ও লিভারের রোগীদের ডোজ কমাতে হতে পারে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত নিরাপদ, তবে ডাক্তারকে জানাতে হবে।
অ্যামোক্সিসিলিন + ক্ল্যাভুলানিক এসিড
(বাজারে পরিচিত নাম: Augmentin, Amoxiclav, Clavamox, Clavulin ইত্যাদি
এটি একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক।
অ্যামোক্সিসিলিন ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে।
ক্ল্যাভুলানিক এসিড ব্যাকটেরিয়ার তৈরি β-lactamase এনজাইমকে নষ্ট করে, যাতে অ্যামোক্সিসিলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে।
তাই এই কম্বিনেশন এমন অনেক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, যেগুলো সাধারণ অ্যামোক্সিসিলিনে প্রতিরোধী হয়ে যায়।
সাধারণ ব্যবহার
দীর্ঘস্থায়ী কাশি (ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে)
নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস
সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, কান ইনফেকশন
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)
ত্বক ও দাঁতের সংক্রমণ
ডোজ (সাধারণ নিয়ম)
বড়দের জন্য
625 mg (500 mg Amoxicillin + 125 mg Clavulanic Acid) দিনে ২–৩ বার
খাবারের সময় বা খাবারের পরে খেতে হয়
শিশুদের জন্য
25–45 mg/kg/দিন (Amoxicillin অংশ হিসেবে গণনা করতে হবে), ২–৩ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়
সাধারণত সিরাপ আকারে দেওয়া হয়
কোর্স: সাধারণত ৫–৭ দিন, তবে সংক্রমণের ধরন অনুযায়ী ডাক্তার বেশি সময় দিতে পারেন।
ব্যবহারের নিয়ম
সবসময় খাবারের শুরুতে বা খাবারের সাথে খেতে হবে (পেটের অসুবিধা কম হয়)।
নির্ধারিত কোর্স শেষ করতে হবে।
নিয়মিত সময় মেনে খেতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বমি, বমি ভাব
ডায়রিয়া (সবচেয়ে বেশি দেখা যায়)
পেট ব্যথা
ত্বকে র্যাশ, অ্যালার্জি
লিভারের এনজাইম বেড়ে যেতে পারে (দীর্ঘদিন খেলে)
খুব কম ক্ষেত্রে: শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস, তীব্র অ্যালার্জি
সতর্কতা
পেনিসিলিন অ্যালার্জি থাকলে এই ওষুধ খাওয়া যাবে না।
দীর্ঘ সময় খেলে লিভার ও কিডনির পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারকে জানাতে হবে
আজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin)
আজিথ্রোমাইসিন হলো একটি ম্যাক্রোলাইড গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি শ্বাসনালী, গলা, কান, ত্বক, ইউরিনারি ও যৌনবাহিত রোগে ব্যবহৃত হয়।
কাশির ক্ষেত্রে এটি দেওয়া হয় যদি ব্যাকটেরিয়াল ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস বা হুপিং কাশি থাকে।
সাধারণ ব্যবহার
দীর্ঘস্থায়ী কাশি (ব্যাকটেরিয়া দ্বারা)
নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস
টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস
সাইনোসাইটিস, কান ইনফেকশন
যৌনবাহিত সংক্রমণ (Chlamydia, Gonorrhea)
ত্বক ও নরম টিস্যুর ইনফেকশন
ডোজ (সাধারণ নিয়ম)
বড়দের জন্য (Adult):
প্রথম দিন: 500 mg
পরের 2–4 দিন: 250 mg প্রতিদিন
অনেক সময় 3 দিন 500 mg করেও দেওয়া হয়।
শিশুদের জন্য (Pediatric):
10 mg/kg/দিন, ৩–৫ দিন পর্যন্ত
কোর্স ডাক্তার নির্ধারণ করেন (৩–৫ দিন সাধারণত)।
ব্যবহারের নিয়ম
খালি পেটে খাওয়া ভালো (খাবারের ১ ঘণ্টা আগে বা খাবারের ২ ঘণ্টা পরে)।
প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে।
কোর্স শেষ করতে হবে (মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না)।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বমি, ডায়রিয়া, পেট খারাপ
মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা
ক্লান্তি, ত্বকে র্যাশ
খুব কম ক্ষেত্রে: হার্টের রিদমে সমস্যা, লিভারের সমস্যা
সতর্কতা
যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ডাক্তার ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
যাদের হার্টে ছন্দ (arrhythmia) সমস্যা আছে তাদের সাবধানে ব্যবহার করতে হয়।
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন (Clarithromycin)
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন হলো ম্যাক্রোলাইড গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, গলার ইনফেকশন, টনসিল, সাইনাস, কানে ব্যথা, ত্বক এবং হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (গ্যাস্ট্রিক আলসার) এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
কাশির ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস ইত্যাদিতে ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন।
সাধারণ ব্যবহার
ব্যাকটেরিয়াল কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস
টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস
সাইনোসাইটিস, ওটাইটিস মিডিয়া (কানের ইনফেকশন)
ত্বক ও নরম টিস্যুর সংক্রমণ
হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (পেপটিক আলসার) – ট্রিপল থেরাপিতে
ডোজ (সাধারণ নিয়ম)
বড়দের জন্য (Adult):
250–500 mg দিনে ২ বার
সাধারণত 7–14 দিন খেতে হয়
শিশুদের জন্য (Pediatric):
7.5 mg/kg/দিন (দিনে ২ বার), সর্বোচ্চ 500 mg/দিন
কোর্স: 7–10 দিন
সঠিক ডোজ ডাক্তার রোগের ধরন ও বয়স অনুযায়ী ঠিক করেন।
ব্যবহারের নিয়ম
খাবারের সাথে বা খাবারের পর খেতে হয়।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মেনে খেতে হবে।
কোর্স (৭–১৪ দিন) শেষ করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পেট খারাপ, ডায়রিয়া
মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা
তেতো/ধাতব স্বাদ মুখে
বমি, ক্ষুধামান্দ্য
লিভারের এনজাইম বেড়ে যাওয়া (দীর্ঘদিন খেলে)
ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি
খুব কম ক্ষেত্রে হার্টের ছন্দে সমস্যা
সতর্কতা
যাদের লিভারের রোগ আছে তারা সাবধানতার সাথে ব্যবহার করবেন।
কিডনির সমস্যা থাকলে ডোজ কমাতে হতে পারে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ডাক্তার ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।
কিছু ওষুধের সাথে (যেমন স্ট্যাটিনস, অ্যান্টি-অ্যারিদমিক, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট) একসাথে খাওয়া যাবে না।:
ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
ডক্সিসাইক্লিন হলো টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়। কাশি যদি ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস বা কিছু ক্ষেত্রে যক্ষ্মা/হুপিং কাশি সন্দেহ থাকে, ডাক্তার এই ওষুধ দিতে পারেন।
সাধারণ ব্যবহার
ব্যাকটেরিয়াল শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (কাশি, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া)
সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)
ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ (Acne)
যৌনবাহিত রোগ (Chlamydia, Gonorrhea, Syphilis)
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
কিছু ক্ষেত্রে যক্ষ্মার বিকল্প চিকিৎসায়
ডোজ (সাধারণ নিয়ম)
বড়দের জন্য (Adult):
প্রথম দিন: 100 mg দিনে ২ বার
পরের দিনগুলো: 100 mg দিনে ১–২ বার
কোর্স: সাধারণত ৭–১০ দিন (ডাক্তার নির্ধারণ করবেন)
শিশুদের জন্য (Pediatric):
৮ বছরের নিচে শিশুদের দেওয়া যায় না (দাঁতের ক্ষতি করে)
8 বছর ঊর্ধ্বে: 2 mg/kg প্রতি 12 ঘণ্টায়
ব্যবহারের নিয়ম
খাবারের পর এক গ্লাস পূর্ণ পানি দিয়ে খেতে হবে।
ট্যাবলেট খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট সোজা হয়ে বসে থাকতে হবে, শুয়ে পড়া যাবে না (ইসোফ্যাগাসে জ্বালা হতে পারে)।
দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, অ্যান্টাসিড বা আয়রন সাপ্লিমেন্টের সাথে একসাথে খাওয়া যাবে না (শোষণে সমস্যা হয়)।
নির্ধারিত সময় মেনে পুরো কোর্স শেষ করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
গ্যাস্ট্রিক/পেট ব্যথা
বমি ভাব, ডায়রিয়া
সূর্যের আলোতে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে যাওয়া (Photosensitivity)
দাঁত হলুদ/বাদামি হয়ে যাওয়া (শিশুদের ক্ষেত্রে)
গলার ভেতর বা ইসোফ্যাগাসে জ্বালা (যদি পর্যাপ্ত পানি ছাড়া খাওয়া হয়)
খুব কম ক্ষেত্রে: লিভারের সমস্যা, রক্তের কোষ কমে যাওয়া
সতর্কতা
৮ বছরের নিচের শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।
যাদের লিভার বা কিডনির রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডোজ পরিবর্তন দরকার হতে পারে।
খাওয়ার সময় রোদে বেশি না যাওয়াই ভালো (Sunburn ঝুঁকি বাড়ে)।
কোর্স মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না।
সেফিক্সিম (Cefixime)
সেফিক্সিম হলো তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি মূলত শ্বাসনালী, কান, গলা, মূত্রনালী ও কিছু ত্বকের সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়।
কাশির ক্ষেত্রে ডাক্তার এটি দেন যদি ব্যাকটেরিয়াল ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া বা টনসিলাইটিস থাকে।
সাধারণ ব্যবহার
ব্যাকটেরিয়াল কাশি, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া
টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস
সাইনোসাইটিস, ওটাইটিস মিডিয়া (কানের ইনফেকশন)
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)
গনোরিয়া
ত্বক ও নরম টিস্যুর সংক্রমণ
ডোজ (সাধারণ নিয়ম)
বড়দের জন্য (Adult):
200 mg দিনে ২ বার অথবা 400 mg দিনে ১ বার
কোর্স: সাধারণত ৭–১০ দিন
শিশুদের জন্য (Pediatric):
8 mg/kg/দিন (১ বা ২ ভাগে দেওয়া হয়)
সিরাপ আকারে দেওয়া হয় (50–100 mg/5ml strength থাকে)
ব্যবহারের নিয়ম
খাবারের সাথে বা খাবারের পর খাওয়া ভালো।
নির্ধারিত সময় মেনে খেতে হবে।
পুরো কোর্স শেষ করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
বমি, বমি ভাব
পেট ব্যথা, গ্যাস
মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা
ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি
খুব কম ক্ষেত্রে: লিভারের এনজাইম বেড়ে যাওয়া, কিডনির সমস্যা
সতর্কতা
যাদের সেফালোস্পোরিন বা পেনিসিলিন অ্যালার্জি আছে, তারা সেফিক্সিম খেতে পারবেন না।
কিডনি রোগীদের ডোজ পরিবর্তন করতে হয়।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ডাক্তার ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
লেভোফ্লক্সাসিন (Levofloxacin)
লেভোফ্লক্সাসিন হলো ফ্লুরোকুইনোলোন (Fluoroquinolone) গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক, সাধারণত গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণে ব্যবহার করা হয়।
কাশির ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এটি দেন যদি নিউমোনিয়া, জটিল ব্রংকাইটিস, টিবি (কম্বিনেশন থেরাপিতে) বা অন্যান্য গুরুতর শ্বাসনালীর সংক্রমণ থাকে।
সাধারণ ব্যবহার
নিউমোনিয়া (Community-acquired বা Hospital-acquired)
দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিসের জটিল সংক্রমণ
সাইনোসাইটিস
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)
কিডনি সংক্রমণ (Pyelonephritis)
প্রোস্টেট ইনফেকশন
ত্বক ও নরম টিস্যুর সংক্রমণ
কিছু ক্ষেত্রে যক্ষ্মা চিকিৎসায় (অন্য অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে)
ডোজ (সাধারণ নিয়ম)
বড়দের জন্য (Adult):
500 mg দিনে ১ বার অথবা 750 mg দিনে ১ বার
কোর্স: সাধারণত ৭–১৪ দিন (সংক্রমণের ধরন অনুযায়ী)
শিশুদের জন্য:
সাধারণত দেওয়া হয় না (হাড় ও জোড়ার ক্ষতি করতে পারে)।
ব্যবহারের নিয়ম
খালি পেটে বা খাবারের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
খাওয়ার সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে।
দুধ, দই, ক্যালসিয়াম/আয়রন সাপ্লিমেন্টের সাথে একসাথে খাওয়া যাবে না (শোষণে সমস্যা হয়)।
পুরো কোর্স শেষ করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা
অনিদ্রা, নার্ভাসনেস
বমি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা
সূর্যের আলোতে ত্বক সংবেদনশীল (Photosensitivity)
টেন্ডন ফেটে যাওয়া বা জোড়ার ব্যথা (Tendinitis, বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে)
খুব কম ক্ষেত্রে: হার্টের রিদম সমস্যা, লিভার বা কিডনির ক্ষতি
সতর্কতা
শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।
যাদের টেন্ডন সমস্যা, মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস বা হার্টের রিদম সমস্যা আছে, তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
দীর্ঘ সময় রোদে না থাকা ভালো।
অন্যান্য ওষুধের (যেমন স্টেরয়েড, অ্যান্টি-অ্যারিদমিক) সাথে খাওয়ার আগে ডাক্তারকে জানাতে হবে।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url