প্যারাসিটামল এক্সট্রা এর কাজ কি - প্যারাসিটামল এক্সট্রা নিয়ে কিছু কথা এবং প্যারাসিটামল এর উৎপত্তিকাল , স্থান ও উত্থান

প্যারাসিটামল এক্সট্রা (Paracetamol Extra) সাধারণ প্যারাসিটামলের তুলনায় একটু বেশি কার্যকর, কারণ এতে সাধারণত প্যারাসিটামল + ক্যাফেইন থাকে। এই কম্বিনেশন ব্যথা উপশমে আরও দ্রুত ও ভালো কাজ করে।প্যারাসিটামল বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে ১৯৫০–১৯৭০ দশকে।সাধারণ প্যারাসিটামলের চেয়ে একটু বেশি কার্যকর কারণ ক্যাফেইন ব্যথানাশক প্রভাবকে বাড়িয়ে দেয়।



প্যারাসিটামল এক্সট্রা এর কাজ কি - প্যারাসিটামল এক্সট্রা নিয়ে কিছু কথা এবং প্যারাসিটামল এর উৎপত্তিকাল , স্থান ও উত্থান

বিশেষ করে টেনশন হেডেক বা মাইগ্রেনে ভালো উপকার দেয়

ক্যাফেইন থাকার কারণে একটু সতেজ অনুভূতি দেয়।

অতিরিক্ত খাওয়া লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

প্রতিবার ১ ট্যাবলেট, দিনে সর্বোচ্চ ৩ বার।

প্যারাসিটামল এক্সট্রা মূলত প্যারাসিটামল ও ক্যাফেইনের সমন্বয়ে তৈরি, যা ব্যথা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।

প্যারাসিটামলের ইতিহাস বেশ পুরনো। এর মূল রাসায়নিক—অ্যাসিট্যানিলাইড (Acetanilide) ও ফেনাসিটিন (Phenacetin)—ব্যথানাশক ও জ্বর কমানোর ওষুধ হিসেবে ১৮৮০–১৮৯০ দশকে ব্যবহারে আসে।

তবে প্যারাসিটামল নিজে আবিষ্কৃত হয় ১৮৯৩ সালে, কিন্তু তখন এর যথাযথ গুরুত্ব পাওয়া যায়নি।

প্যারাসিটামলের মূল বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়ন হয়েছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে।প্রথম দিকের গবেষণা হয় জার্মান রসায়নবিদ Harmon Northrop Morse-এর হাতে (১৮৭৮ সালে তিনি প্রথম Paracetamol–এর মতো যৌগ তৈরি করেন)১৯৪০–৫০ দশকে মার্কিন গবেষক Bernard Brodie এবং Julius Axelrod দেখান যেphenacetin ও acetanilide-এর ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছেকিন্তু paracetamol–ই আসলে নিরাপদ কার্যকর অংশ এর ফলে Paracetamol–কে নিরাপদ analgesic–antipyretic হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

প্যারাসিটামল বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে ১৯৫০–১৯৭০ দশকে।নিরাপদ ও কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – অ্যাসপিরিন বা ফেনাসিটিনের তুলনায় নিরাপদ।ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায় (OTC)।Tylenol (1955) এবং Panadol (1956) নামে বাজারে এলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।শিশুদের জন্য নিরাপদ ডোজ ফর্ম তৈরি হওয়ায় পরিবারে ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ে।

সাধারণ প্যারাসিটামলের চেয়ে একটু বেশি কার্যকর কারণ ক্যাফেইন ব্যথানাশক প্রভাবকে বাড়িয়ে দেয়।

জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

সঠিক ডোজে খেলে নিরাপদ, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

যারা কফি বা চা বেশি খান তাদের জন্য ক্যাফেইনজনিত অস্বস্তি হতে পারে, তাই সাবধানে খাওয়া উচিত।

শিশুদের জন্য এটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় না—শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।

খালি পেটে না খাওয়াই ভালো—হালকা খাবারের পর খাওয়া উত্তম।

যদি ব্যথা বা জ্বর ২–৩ দিনের মধ্যে কমে না যায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মাথার ভেতর ঝড় উঠলে প্যারাসিটামল এক্সট্রাই দেয় শান্তি।

হালকা জ্বর আর তীব্র মাথাব্যথার সহজ সাথী—প্যারাসিটামল এক্সট্রা।

ব্যথার মুহূর্তে একটু আরাম, প্যারাসিটামল এক্সট্রার হাত ধরে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪