ওমিপ্রাজল ঔষধ কি কি কাজে লাগে - ওমিপ্রাজল ঔষধ নিয়ে কিছু কথা , ওমিপ্রাজল ঔষধ এর কার্যকারিতা , উপকারিতা ও অপকারিতা

ওমিপ্রাজল হলো একটি Proton Pump Inhibitor (PPI), যা পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন কমায়।এটি পাকস্থলীর Proton Pump ব্লক করে, ফলে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হতে পারে না। সহজভাবে অ্যাসিড কমায় → জ্বালা-পোড়া কমে → আলসার দ্রুত সারে।খাওয়ার পর বা খালি পেটে হওয়া বুকজ্বালা কমাতে এটি বেশ কার্যকর।পাকস্থলীর ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।



ওমিপ্রাজল ঔষধ কি কি কাজে লাগে - ওমিপ্রাজল ঔষধ নিয়ে কিছু কথা , ওমিপ্রাজল ঔষধ এর কার্যকারিতা , উপকারিতা ও অপকারিতা

ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশে হওয়া আলসার নিরাময়ে ব্যবহার হয়।খাদ্যনালীর দিকে অ্যাসিড উঠে আসলে যে জ্বালা-পোড়া হয়, সেটি নিয়ন্ত্রণ করে।ওমিপ্রাজল পাকস্থলীর proton pump ব্লক করে। ফলে অ্যাসিড উৎপাদন কমে যায়, অম্বল ও অ্যাসিডজনিত সমস্যাগুলো উপশম হয়।সাধারণত খালি পেটে সকালবেলা, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে।তবে চিকিৎসকের পরামর্শভেদে পরিবর্তন হতে পারে।

ওষুধটির পূর্ণাঙ্গ আবিষ্কার ও চিকিৎসায় ব্যবহার শুরু হয় ১৯৮০–এর দশকে।ওমিপ্রাজল প্রথম তৈরি করে AB Hässle নামের একটি সুইডিশ (Sweden) ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান।এ প্রতিষ্ঠানটি পরে Astra AB–এর অংশ হয়ে যায় (পরবর্তীতে AstraZeneca)।১৯৮৮ সালে Astra ওষুধটি প্রথম বাজারে আনে Losec নামে।লক্ষ লক্ষ রোগীর অম্বল, GERD ও আলসার চিকিৎসায় এটি সফল হয়।

২০০১ সালে পেটেন্ট শেষ হলে ওমিপ্রাজল জেনেরিক হিসেবে সারা বিশ্বে সহজলভ্য হয়ে যায়।এরপর এটি বাংলাদেশসহ সব দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ওমিপ্রাজল হলো এমন একটি ওষুধ, যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। অম্বল, গ্যাস, বুকজ্বালা বা খাবার হজমের সমস্যা হলে ডাক্তাররা প্রথমেই যে ওষুধটি ভাবেন, তা হলো ওমিপ্রাজল। এটি পাকস্থলীর ভেতরের সেই অংশে কাজ করে যেখানে অ্যাসিড তৈরি হয় এবং অ্যাসিড উৎপাদন বন্ধ বা কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়।

অনেক সময় আমরা অনিয়মিত খাবার, বেশি তেল–মসলা, দীর্ঘক্ষণ খালি পেট, মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত চা–কফির কারণে অম্বল অনুভব করি। এমন অবস্থায় ওমিপ্রাজল একধরনের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। এটি শুধু অম্বল কমায় না, পাকস্থলীর ক্ষত বা আলসার দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। খাবারনালীতে অ্যাসিড উঠে এসে বুকজ্বালা তৈরি করলে (GERD), ওমিপ্রাজল সেই জ্বালা-পোড়া থেকে মুক্তি দেয়।

তবে মনে রাখতে হবে—ওমিপ্রাজল যদিও খুবই কার্যকর, তবুও এটি প্রতিদিন-প্রতিদিন অভ্যাসের মতো খাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে শরীরে ভিটামিন B12, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত সেবন করা ঠিক নয়।

ওষুধটি সাধারণত সকালে খালি পেটে খাওয়া হয়, কারণ তখন এটি সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এর প্রভাব একবার খেলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে।

সব মিলিয়ে, ওমিপ্রাজল হলো অম্বল, বুকজ্বালা ও অতিরিক্ত অ্যাসিডজনিত সমস্যার এক নির্ভরযোগ্য সমাধান—তবে সঠিকভাবে, প্রয়োজন অনুযায়ী এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।

অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে মিলে সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।একবার খেলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রভাব থাকে।

ওমিপ্রাজল দীর্ঘসময় (মাসের পর মাস) নিয়মিত খেলে বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাব হতে পারে অ্যাসিড কমে গেলে শরীর খাবার থেকে B12 শোষণ করতে পারে না ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।ক্যালসিয়াম শোষণ কমে হাড় দুর্বলতা দীর্ঘদিন ওমিপ্রাজল ব্যবহারে হাড় পাতলা হয়ে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪