নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম (Napa Syrup Dosage and Usage) শিশুর বয়স ও ওজন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। এটি সাধারণত জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। নিচে একটি সাধারণ নির্দেশনা দেওয়া হলো, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই খাওয়ানো উচিতঃ
নাপা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
প্রতি ৫ মি.লি. নাপা সিরাপে সাধারণত ২৫০ মি.গ্রা. প্যারাসিটামল থাকে।
শিশুর বয়স অনুযায়ী ডোজ (প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর, দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার)
বয়স ডোজ (প্রায়)
২-৩ মাস ২.৫ মি.লি.
৪-১১ মাস ২.৫ - ৩.৭৫ মি.লি.
১-২ বছর ৩.৭৫ - ৫ মি.লি.
৩-৬ বছর ৫ - ৭.৫ মি.লি.
৭-১২ বছর ৭.৫ - ১০ মি.লি.
প্রতিবার খাওয়ানোর মাঝে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা বিরতি দিন।দিনে ৪ বারের বেশি খাওয়াবেন না।শিশুর ওজন অনুযায়ী ডোজ ভিন্ন হতে পারে। ওজন বেশি হলে পরিমাণ বাড়তে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ সময় নাপা সিরাপ খাওয়ানো যাবে না।একইসাথে অন্য কোনো ওষুধে প্যারাসিটামল থাকলে, অতিরিক্ত মাত্রা হয়ে যেতে পারে।৩ দিন বা তার বেশি জ্বর থাকলে, ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
নাপা সিরাপ খাওয়ানোর আগে করণীয়ঃ
বয়স ও ওজন অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করুনঃশিশুর বয়স এবং ওজন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে ডোজ দিন।প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।বোতল ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন ।খাওয়ানোর আগে নাপা সিরাপের বোতল ভালোভাবে ঝাঁকানো জরুরি, যাতে ওষুধটি সমভাবে মিশে যায়।
মাপার নির্ভুল যন্ত্র ব্যবহার করুনঃসিরাপ খাওয়ানোর জন্য সিরাপের সাথে দেওয়া মেজারিং কাপ, সিরিঞ্জ বা চামচ ব্যবহার করুন।সাধারণ চা চামচ ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে ডোজ কম-বেশি হতে পারে।
খালি পেটে না খাওয়ানো ভালোঃনাপা সিরাপ খাবারের কিছুক্ষণ পর খাওয়ানো উত্তম। এতে পেটের সমস্যা কম হয়।
অন্যান্য ওষুধের সাথে মিলিয়ে নিনঃঅন্য কোনো ওষুধ খাওয়ানো হলে দেখে নিন তাতে প্যারাসিটামল আছে কি না। যাতে অতিরিক্ত ডোজ না হয়
।সঠিক সময়ের ব্যবধান বজায় রাখুনঃনাপা সিরাপ সাধারণত প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর পর দেওয়া যায়। এর আগে দ্বিতীয় ডোজ দেবেন না।
একইসঙ্গে জ্বর মাপুনঃজ্বর থাকলে থার্মোমিটার দিয়ে মেপে নিন। অকারণে ওষুধ না খাওয়ানোই ভালো।
বয়স অনুযায়ী ডোজ সীমা মানা জরুরিঃদিনে ৪ বারের বেশি না দিন এবং একটানা ৩ দিনের বেশি না খাওয়ানো উচিত, যদি না ।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url